আজ, শুক্রবার | ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | দুপুর ১:০০

ব্রেকিং নিউজ :
শ্রীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজন-সংগ্রামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ জমে উঠেছে শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন মাগুরায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ পড়ে কাঁদলেন শ্রীপুরের মুসল্লিরা মহম্মদপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যু মাগুরায় প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ মাগুরায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাহিদুর রেজা চন্দন ও নবীব আলী মহম্মদপুরে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন শালিখায় ৫ জনের মনোনয়ন পত্র জমা স্মৃতির আয়নায় প্রিয় শিক্ষক কাজী ফয়জুর রহমান স্মৃতির আয়নায় প্রিয় শিক্ষক কাজী ফয়জুর রহমান

জামুকার যাচাই বাছাইয়ের মুখে মাগুরার ৭৫৫ জন মুক্তিযোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার অনুমোদন ছাড়া গেজেটভুক্ত বলে ঘোষিত মাগুরা জেলার ৭৫৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্ধারিত দিনে নতুন করে জামুকা’র যাচাই বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে হবে।

৩০ জানুয়ারি এই যাচাই বাছাই হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে এই যাচাই বাছাইয়ের তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাতিল করা হয়। এবার ৩০ জানুয়ারিও যাচাই-বাছাইয়ের তারিখ শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে কিনা এ নিয়ে তাই সংশয় রয়েছে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে।

জামুকার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী মাগুরার ৭৫৫ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলাতে রয়েছে ২৭৭ জন, শ্রীপুর উপজেলাতে রয়েছে ২৮৩ জন, মহম্মদপুর উপজেলাতে রয়েছে ১৫৬ জন এবং শালিখা উপজেলতে রয়েছে ৩৯ জন। ইতোমধ্যে এই তালিকা মাগুরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করে জামুকার মহাপরিচালক (অতিরিক্ত পরিচালক) মো. জহরুল ইসলাম রাহেল।

এদিকে এই যাচাই-বাছাইয়ের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বিশেষ করে যারা রণাঙ্গণের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারা বিষয়টি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তালিকায় দেখা গেছে এমন অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে যাদের নাম ভারতীয় তালিকা এবং লাল মুক্তিবার্তায় রয়েছে এবং যারা প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁরা বিষয়টিকে রীতিমতো আপত্তিকর ও অপমানজনক মনে করছেন।

তবে তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর সংশয়ে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নন, কিন্তু বিভিন্ন সরকারের আমলে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেদেরকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করে বছরের পর বছর সরকার প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন। এই কথিত মুক্তিযোদ্ধারা জামুকার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার শুরু করেছেন। অনেকেই মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সাক্ষীও খুঁজে বেড়াচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রণাঙ্গণের অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাই বলেছেন, মাগুরা জেলার চারটি উপজেলাতে কয়েকশত অ-মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন যারা বিভিন্ন সরকারের আমলে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে, মন্ত্রণালয়ে প্রভাব খাটিয়ে, বয়স বাড়িয়ে নানা কৌশলে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নিয়মিত ভাতা নিচ্ছেন। আবার অনেকের পরিবার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে থাকলেও বিএনপি আমলে তারা সম্পূর্ণ প্রতারণায় আশ্রয় নিয়ে নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নাম উঠিয়েছেন।

তাদের অভিযোগ, অনেক কথিত মুক্তিযোদ্ধা আছেন যাদের মুক্তিযুদ্ধে সামাণ্যতম অবদান নেই, আবার বাপ-দাদা নানা প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের সহায়তা করেছেন বা মানসিকভাবে বিজয়ের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়েছেন এমন পরিবারের অনেকেই এখন গেজেটধারী মুক্তিযোদ্ধা।

এই বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিমত, মাগুরা, শ্রীপুর, শালিখা, মহম্মদপুরের সবখানেই অমুক্তিযোদ্ধার ছড়াছড়ি। শ্রীপুরে অনেকেই বিএনপি আমলে প্রভাব খাটিয়ে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। কিন্তু তারা কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা নন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, কথিত, অমুক্তিযোদ্ধাদের অনেককেই মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়েছে-এটিও খুবই পীড়াদায়ক।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জামুকার ৭১তম সভায় ২০০২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে জামুকার সুপারিশ ছাড়াই যাঁদের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছে তাঁদের পুনরায় যাচাই-বাছাই এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সারাদেশে ৩৯ হাজার ৯৬১ জন মুক্তিযোদ্ধা এই যাচাই-বাছাই এর আওতায় পড়েছে।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology